মার্কেটিং পরীক্ষায় ভালো ফল করার গোপন কৌশল!

webmaster

Modern Marketing Strategy Visualization**

A vibrant and informative infographic illustrating modern marketing management concepts, including Customer Experience Management (CXM), Data Analytics, Digital Marketing, CRM, Marketing Automation, AI, and Mobile Marketing. The infographic features clean lines, professional fonts, and engaging icons representing each concept. The overall aesthetic is modern and business-oriented, suitable for a presentation slide. Safe for work, appropriate content, fully clothed, professional. Perfect anatomy (where applicable), correct proportions, natural pose (if people are depicted). High quality, sharp focus, well-lit.

**

বর্তমান যুগে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের ধারণা অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। আগে যেখানে শুধুমাত্র প্রচার এবং বিক্রয়ের উপর জোর দেওয়া হতো, এখন সেখানে গ্রাহকের অভিজ্ঞতা, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো বিষয়গুলিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে যখন একটি ছোট ব্যবসা শুরু করি, তখন এই পরিবর্তনগুলো আমাকে বেশ বেগ দিয়েছে। পুরাতন ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কিছু শিখতে হয়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল।বর্তমানে, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (CRM) এবং মার্কেটিং অটোমেশন টুলসগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং মেশিন লার্নিংয়ের (ML) মাধ্যমে গ্রাহকদের পছন্দ এবং অপছন্দগুলো বিশ্লেষণ করে তাদের জন্য উপযুক্ত মার্কেটিং কৌশল তৈরি করা যাচ্ছে। ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, এই বিষয়গুলো একজন মার্কেটিং ম্যানেজারের জন্য জানা অত্যাবশ্যকীয়।আমার মনে আছে, প্রথমদিকে আমি CRM-এর ব্যবহার ঠিকমতো বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু যখন ধীরে ধীরে এর সুবিধাগুলো উপলব্ধি করতে শুরু করলাম, তখন দেখলাম যে গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা এবং তাদের ধরে রাখা কত সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন আমি আমার ব্যবসার জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং অটোমেশন টুলস ব্যবহার করি এবং এর মাধ্যমে আমার কাজের দক্ষতা অনেক বেড়েছে।মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ এখন ডেটা-চালিত এবং ব্যক্তিগতকরণের উপর নির্ভরশীল। তাই একজন সফল মার্কেটিং ম্যানেজার হতে গেলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা জরুরি। এছাড়া, নতুন নতুন টেকনোলজি এবং ট্রেন্ডগুলোর সাথে নিজেকে আপডেট রাখাটাও খুব দরকার।আসুন, এই বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে জেনে নিই।

বর্তমান সময়ে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের ধারণা এবং প্রয়োগ কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. গ্রাহক অভিজ্ঞতা ব্যবস্থাপনা (Customer Experience Management)

keyword - 이미지 1
বর্তমান মার্কেটিং-এর মূল লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের একটি সুন্দর এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেওয়া। একটি ইতিবাচক গ্রাহক অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারলে, গ্রাহকরা বারবার আপনার কাছে ফিরে আসবে এবং অন্যদেরকেও আপনার পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে জানাবে। আমি যখন প্রথম আমার ব্যবসা শুরু করি, তখন গ্রাহক অভিজ্ঞতার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম যে, ভালো গ্রাহক পরিষেবা এবং ব্যক্তিগতকৃত মনোযোগের মাধ্যমে গ্রাহকদের মন জয় করা সম্ভব।

১. গ্রাহকদের প্রয়োজন বোঝা

গ্রাহকদের প্রয়োজন এবং চাহিদাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারাটা খুব জরুরি। এর জন্য আপনি গ্রাহকদের কাছ থেকে সরাসরি ফিডব্যাক নিতে পারেন, সার্ভে করতে পারেন অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের মন্তব্যগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। আমি নিজে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কথা বলি এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করি।

২. ব্যক্তিগতকৃত পরিষেবা প্রদান

প্রত্যেক গ্রাহকের চাহিদা আলাদা হয়। তাই প্রত্যেককে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তিগতকৃত পরিষেবা প্রদান করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, আপনি তাদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন অথবা তাদের পছন্দের পণ্যগুলোর উপর বিশেষ ছাড় দিতে পারেন।

৩. গ্রাহক সম্পর্ক উন্নয়ন

গ্রাহকদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ রাখা উচিত। আপনি ইমেলের মাধ্যমে নিউজলেটার পাঠাতে পারেন অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে অন্তত একবার আমার গ্রাহকদের সাথে কথা বলতে এবং তাদের মতামত জানতে।

২. ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং মার্কেটিং

ডেটা অ্যানালিটিক্স বর্তমান মার্কেটিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ডেটা বিশ্লেষণ করে গ্রাহকদের আচরণ, পছন্দ এবং অপছন্দ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে মার্কেটিং কৌশল তৈরি করলে তা অনেক বেশি কার্যকর হয়।

১. ডেটা সংগ্রহ

বিভিন্ন উৎস থেকে ডেটা সংগ্রহ করা যায়। যেমন – ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি, গ্রাহকদের ক্রয় ইতিহাস ইত্যাদি। এই ডেটাগুলো সংগ্রহ করে একটি সেন্ট্রাল ডেটাবেসে সংরক্ষণ করতে হয়।

২. ডেটা বিশ্লেষণ

সংগ্রহিত ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করার জন্য বিভিন্ন অ্যানালিটিক্স টুলস ব্যবহার করা হয়। এই টুলসগুলো ডেটার মধ্যে লুকানো প্যাটার্ন এবং প্রবণতাগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। আমি গুগল অ্যানালিটিক্স এবং ফেসবুক অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আমার ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি বিশ্লেষণ করি।

৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণ

ডেটা বিশ্লেষণের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মার্কেটিং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যেমন – কোন পণ্যগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে, কোন গ্রাহকরা বেশি সক্রিয়, কোন মার্কেটিং চ্যানেলটি বেশি কার্যকর ইত্যাদি। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাজেট বরাদ্দ এবং মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল

ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে কম খরচে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, যেমন – সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), ইমেল মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি।

১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করা হয়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত কন্টেন্ট শেয়ার করে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। আমি আমার ব্যবসার জন্য ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করি এবং নিয়মিত নতুন নতুন পোস্ট করি।

২. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উপরের দিকে নিয়ে আসা যায়। এর জন্য ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এবং কাঠামোকে অপটিমাইজ করতে হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ, অন-পেজ অপটিমাইজেশন এবং অফ-পেজ অপটিমাইজেশন SEO-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩. কন্টেন্ট মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মূল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট তৈরি করে গ্রাহকদের আকর্ষণ করা হয়। ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স, ইবুক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করা যায়। আমি নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট করি এবং আমার গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করি।

মার্কেটিং কৌশল সুবিধা অসুবিধা উদাহরণ
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কম খরচে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি করতে হয় ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল পাওয়া যায় সময় এবং ধৈর্য প্রয়োজন ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করা
কন্টেন্ট মার্কেটিং গ্রাহকদের আকর্ষণ করা যায় ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে হয় ব্লগ পোস্ট লেখা

৪. কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (CRM)

কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (CRM) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং তা বজায় রাখা যায়। CRM সিস্টেম ব্যবহার করে গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করা, তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবা প্রদান করা এবং তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা যায়।

১. CRM সফটওয়্যার ব্যবহার

CRM সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাহকদের ডেটা সংগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনা করা সহজ হয়। এই সফটওয়্যারগুলো গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগের ইতিহাস, ক্রয় ইতিহাস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে। সেলসফোর্স, হাবস্পট এবং জোহো CRM-এর জনপ্রিয় উদাহরণ।

২. গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা

CRM সিস্টেম ব্যবহার করে গ্রাহকদের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দেওয়া এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়। এর মাধ্যমে গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা সম্ভব হয়। আমি নিজে একটি CRM সফটওয়্যার ব্যবহার করি এবং আমার গ্রাহকদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করি।

৩. বিক্রয় বৃদ্ধি

CRM সিস্টেম ব্যবহার করে বিক্রয় প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করা যায়। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বা পরিষেবা প্রস্তাব করা এবং তাদের ক্রয় সিদ্ধান্তে সাহায্য করা যায়। এর মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।

৫. মার্কেটিং অটোমেশন

মার্কেটিং অটোমেশন হলো প্রযুক্তির ব্যবহার করে মার্কেটিংয়ের কাজগুলোকে স্বয়ংক্রিয় করা। এর মাধ্যমে সময় এবং শ্রম বাঁচানো যায় এবং মার্কেটিং কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করা যায়।

১. ইমেল মার্কেটিং অটোমেশন

ইমেল মার্কেটিং অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেল পাঠানো যায়। যেমন – নতুন গ্রাহকদের স্বাগত জানানো, জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো অথবা বিশেষ অফার সম্পর্কে জানানো। মেইলচিম্প এবং কনভার্টকিট ইমেল মার্কেটিং অটোমেশনের জনপ্রিয় টুল।

২. সোশ্যাল মিডিয়া অটোমেশন

সোশ্যাল মিডিয়া অটোমেশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোস্ট করা যায়। এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়মিত উপস্থিতি বজায় রাখা যায়। বাফার এবং হুটসুইট সোশ্যাল মিডিয়া অটোমেশনের জন্য বহুল ব্যবহৃত টুল।

৩. লিড জেনারেশন অটোমেশন

লিড জেনারেশন অটোমেশনের মাধ্যমে সম্ভাব্য গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করা এবং তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এর মাধ্যমে বিক্রয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা যায়। অপটিমাইজলি এবং লিডpages লিড জেনারেশন অটোমেশনের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।

৬. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং মার্কেটিং

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বর্তমান মার্কেটিংয়ে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। AI ব্যবহার করে গ্রাহকদের আচরণ বিশ্লেষণ করা, ব্যক্তিগতকৃত কন্টেন্ট তৈরি করা এবং মার্কেটিং কার্যক্রমকে অপটিমাইজ করা যায়।

১. চ্যাটবট ব্যবহার

চ্যাটবট ব্যবহার করে গ্রাহকদের প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দেওয়া যায় এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়। এর মাধ্যমে গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা সম্ভব। আমি আমার ওয়েবসাইটে একটি চ্যাটবট ব্যবহার করি, যা গ্রাহকদের সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেয়।

২. ব্যক্তিগতকৃত কন্টেন্ট তৈরি

AI ব্যবহার করে গ্রাহকদের পছন্দ এবং অপছন্দ অনুযায়ী ব্যক্তিগতকৃত কন্টেন্ট তৈরি করা যায়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ করা এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা সহজ হয়।

৩. বিজ্ঞাপন অপটিমাইজেশন

AI ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনগুলোকে অপটিমাইজ করা যায়। কোন বিজ্ঞাপনটি বেশি কার্যকর, কোন গ্রাহকদের কাছে বিজ্ঞাপন দেখানো উচিত এবং কখন বিজ্ঞাপন দেখানো উচিত – এই বিষয়গুলো AI নির্ধারণ করতে পারে। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI) বৃদ্ধি করা সম্ভব।

৭. মোবাইল মার্কেটিং

স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে মোবাইল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব বাড়ছে। মোবাইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সরাসরি বার্তা পাঠানো যায় এবং তাদের সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।

১. এসএমএস মার্কেটিং

এসএমএস মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সরাসরি টেক্সট মেসেজ পাঠানো যায়। এটি প্রচারমূলক বার্তা, অফার অথবা জরুরি सूचना পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

২. মোবাইল অ্যাপ মার্কেটিং

মোবাইল অ্যাপ মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপের ব্যবহার বাড়ানো এবং নতুন গ্রাহক আকর্ষণ করা যায়। অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন (ASO), ইন-অ্যাপ বিজ্ঞাপন এবং পুশ নোটিফিকেশন মোবাইল অ্যাপ মার্কেটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩. লোকেশন-ভিত্তিক মার্কেটিং

লোকেশন-ভিত্তিক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন দেখানো যায়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো গ্রাহক যদি আপনার দোকানের আশেপাশে থাকে, তাহলে তাকে একটি বিশেষ অফারের বার্তা পাঠানো যেতে পারে।এগুলো হলো বর্তমান মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা এবং প্রয়োগ কৌশল। একজন সফল মার্কেটার হিসেবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখা এবং সেগুলোর সঠিক প্রয়োগ করা আবশ্যক।বর্তমান মার্কেটিংয়ের এই আধুনিক কৌশলগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করে যে কেউ তার ব্যবসাকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যেতে পারে। এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে আপনারা যদি সামান্য উপকৃত হন, তাহলেই আমার প্রচেষ্টা সার্থক হবে। ভবিষ্যতে আরও নতুন এবং কার্যকরী মার্কেটিং কৌশল নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না।

শেষের কথা

আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের জন্য সহায়ক হয়েছে। মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের ধারণা এবং প্রয়োগ কৌশল নিয়ে আরও কিছু জানার থাকলে, কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি। ধন্যবাদ!

দরকারী তথ্য

১. গ্রাহক অভিজ্ঞতা (Customer Experience) উন্নত করার জন্য গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখুন।

২. ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে গ্রাহকদের আচরণ বিশ্লেষণ করুন এবং সেই অনুযায়ী মার্কেটিং কৌশল তৈরি করুন।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কৌশল যেমন – সোশ্যাল মিডিয়া, SEO, কন্টেন্ট মার্কেটিং ব্যবহার করুন।

৪. CRM সিস্টেম ব্যবহার করে গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করুন এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবা দিন।

৫. মার্কেটিং অটোমেশন ব্যবহার করে সময় এবং শ্রম বাঁচান এবং মার্কেটিং কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করুন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

১. গ্রাহকদের প্রয়োজন এবং চাহিদা বোঝা

২. ডেটা বিশ্লেষণ করে গ্রাহকদের আচরণ জানা

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করা

৪. CRM সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রাহক সম্পর্ক উন্নয়ন

৫. AI এবং মার্কেটিং অটোমেশনের ব্যবহার

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের মূল উপাদানগুলো কী কী?

উ: মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের মূল উপাদানগুলো হলো গ্রাহক বিশ্লেষণ, বাজার গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, মূল্য নির্ধারণ, প্রচার এবং বিতরণ। এছাড়াও, বর্তমানে ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিংও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্র: CRM (Customer Relationship Management) কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উ: CRM গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি গ্রাহকদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করতে, তাদের প্রয়োজন বুঝতে এবং তাদের ধরে রাখতে সাহায্য করে। CRM ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়ানো যায় এবং ব্যবসার উন্নতি করা সম্ভব।

প্র: মার্কেটিং অটোমেশন বলতে কী বোঝায়?

উ: মার্কেটিং অটোমেশন হলো বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং টুলসের মাধ্যমে মার্কেটিংয়ের কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা। এর মাধ্যমে ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং অন্যান্য রিপিটেটিভ কাজগুলো সহজে করা যায়, যা সময় এবং শ্রম বাঁচায়।